September 19, 2024, 4:41 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
উপজেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ। নিউ হোপ এ্যানিমেল নিউট্রিশন কোম্পানীর পক্ষ হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য গো- খাদ্য প্রেরণ। বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫। ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কাহালুর মাঝপাড়া জাগ্রত মানবসেবা সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন। তালোড়ার ডাঃ শফিউল করিমের প্রাণ নাশের চেষ্টা থানায় জিডি। কাহালুর এরুইল বাজার ইসলামী ব্যাংক এজিন্ট শাখার গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। বগুড়ার কাহালুতে নকল সোনা মূর্তি সহ ২ জন গ্রেফতার। কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত।

কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন

হারুনুর রশিদ কাহালু( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালুতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে অফিসারদের জন্য দৃষ্টি নন্দন অফিসার্স ক্লাব ও উপজেলা পরিষদ পুকুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন লাগোয়া ঘাট নির্মাণ সহ পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন করে রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকা অপচয়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোমলমতি শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য ৩ দশক পূর্বে নির্মিত শিশু পার্কটি প্রশাসনের নজরদারি অভাবে অযত্ন, অবহেলায় পার্কটির অস্তিত্ব হারিয়ে গেলেও সেটি পুনরুদ্ধারে কোন উদ্যোগ না নিয়ে ঐ স্থানটির মাঝখান দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও কাহালু উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বই অযোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে সম্পাদনা ও প্রকাশিত ৭১ বইয়ে তথ্য বিভ্রাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক ও বাধ্যতা মূলক ভাবে এ বই বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভার নামে ভূ্ঁড়িভোজ, নদী রক্ষা সভা আহবান করে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে একই সভা হতে সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে রাজস্ব সভা আহবান, উপজেলা পরিষদ মসজিদকে পাঠাগারে রুপান্তরিত, জাতীয় দিবস উদযাপনে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দিয়ে নাম মাত্র মূল্যে শুভেচ্ছা পুরস্কার ক্রয় করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, সম্প্রতি কাহালু তাইরুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্য বিয়ের ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহন না করা, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্নঅহমিকা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা, হয়রানী মূলক ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদন্ড , কোন টেন্ডার আহ্বান ছাড়াই নির্মাণ কাজ করা, স্থানীয় সাংবাদিকদের অসহযোগিতা অসৌজনসমূলক আচরণ সহ কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিণা আফরোজের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রেলগেট চারমাথা হতে কাহালু বাজার পর্যন্ত অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়লেও জনস্বার্থে সেদিকে নজর না দিয়ে তিনি কাহালু পৌরসভা হতে প্রকল্প নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভিতরে তাঁর বাসভবনের সামনে রাস্তা পাকা করণ করেছেন। ঐ রাস্তা দিয়ে কিছু মানুষ উপজেলা পরিষদে কাজ শেষ করে সেটেলমেন্ট অফিস ও সমাজ সেবা অফিসে যাতায়াত করে থাকে। অথচ এই রাস্তার মাথায় গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। গেট বন্ধ থাকায় জনসাধারনকে আবারো একই রাস্তা দিয়ে পিছনে ফিরে আসতে হয়। উপজেলা পরিষদের মূল ফটক থেকে আনসার ভিডিপি অফিস পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাবেক স্বৈরশাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আবাসিক সুবিধায় নির্মিত উপজেলা পরিষদের কোয়াটার বসবাসের অনুপযোগি হওয়ায় অনেক আগেই ভবন গুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সরকারি নিয়ম না মেনে সে গুলো ভাড়া দেয়া হয়েছে। এদিকে উপজেলা পরিষদের পুকুরে প্রতি বছর মৎস্য সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হলেও পরবর্তীতে সেই পুকুরের মাছের কোন হদিস মিলেনা। মেরিণা আফরোজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাহালু উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে তাঁর কর্মকান্ডে তিনি নানা ভাবে বির্তকিত হয়ে পড়েন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে সৌন্দর্য বর্ধনে লাগানো অর্ধশতাধিক দেবদারু গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠে এই ইউএনও’র বিরুদ্ধে। সব সময় তিনি নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন। এছাড়া সাংবাদিক গন তাঁর কার্যালয়ে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা না করে উল্টো সাংবাদিকদের পত্রিকায় খবর প্রচার করতে বলেন। সম্প্রতি উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে মোট ৫০ হাজার পিস ফলদ ও বনজ গাছের চারা বিতরন করা হয়। এটি একটি মহৎ উদ্যোগ হলেও খবরটি প্রচারের জন্য তিনি কাহালু প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদককে অবহিত না করেই ঐ গাছ গুলো বিতরন করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এসব গাছের চারা এখনো দেয়া হয় নি। এছাড়া তিনি বেশির ভাগ সময়ই সাংবাদিকদের উপেক্ষা করে চলেছেন। সাংবাদিকদের অবহিত না করেই তাঁর খেয়াল খুশিমত বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করছেন। এতে করে উপজলা পরিষদের যে কোন সংবাদ পত্রিকায় প্রচার থেকে সাংবাদিকগন বন্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কেন জানাতে হবে? ঐ দিন ভূলে যান। কে এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা? যার নির্দেশে বিগত ২০২৩ সালে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে সাংবাদিকদের আপ্যায়নের প্যাকেট ও শুভেচ্ছা পুরষ্কার দেয়া হয়নি। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে নানা ব্যক্তির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এই প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজের নাম ব্যবহার করে সরকারি আইন অমান্য করে তাঁর এক আত্নীয়র ধানী জমি কেটে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করার অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহনকারী জীপ গাড়ি দীর্ঘ দিন ধরে কামাল নামের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে চালানো হচ্ছে। মালি আব্দুল বারিক কে দিয়ে চলছে অফিসে কাম মুদ্রাক্ষরিকের কাজ। তাঁর কার্যালয়ে জনসাধারণ কোন সেবা নিতে গেলে প্রায়ই সেবা গ্রহীতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই প্রশাসনিক কর্মকর্তার যোগসাজসে এই ইউএনও তাঁর অফিসে নানা কাজ করে থাকেন। বলতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় এখন সকল দুর্নীতির আখড়া। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন স্বৈরাতান্ত্রিক আচরন, সংবাদ প্রচারে স্থানীয় সাংবাদিকদের অসোহযেগিতা সহ সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি কাহালু প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com